ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৭/০৬/২০২৫ ৬:১৭ এএম

আগামী জুলাই মাসের শেষে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়ে, নির্মাণাধীন টার্মিনাল ভবন ও রানওয়ের লাইটিং সিস্টেম পরিদর্শন করেন। সেই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন।
মঞ্জুর কবীর বলেন, আগামী জুলাই মাসের শেষের দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এর আগে বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে তথ্য অধিকার নিয়ে এক কর্মশালা উদ্বোধন করেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় তথ্য অধিকার আইনের বিধিবিধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, একে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রায় এক দশক আগে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাটিকে আঞ্চলিক হাবে রূপান্তরের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি উড়োজাহাজ চলাচলের পথ প্রস্তুত রাখাও এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এ জন্য বর্তমানে রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। তবে কাজ শেষ না হলেও জুলাই মাস থেকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করবে কক্সবাজার বিমানবন্দর।
বেবিচক চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ২১ এপ্রিল উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ চলতি জুনের মধ্যে শেষ করার তাগাদা রয়েছে। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলেও সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বেবিচক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ইমিগ্রেশন, কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকেও প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে আরও ১ হাজার ৭০০ ফুট সম্প্রসারিত করে মোট ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। সম্প্রসারিত অংশের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট সাগরের পানির মধ্যে। এটি দেশের ইতিহাসে প্রথম সমুদ্রের মধ্যে ব্লক তৈরি করে নির্মিত রানওয়ে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা পুরোপুরি অর্থায়ন করছে বেবিচক।

পাঠকের মতামত

শিশু আইন ২০১৩ নিয়ে কক্সবাজারে কর্মশালা: ন্যায়বিচারে জোর, বাস্তবায়নে গুরুত্ব

“শিশুদের আইনি অধিকার: অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পরবর্তী করণীয়” শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ...

সাগর-নদে ভয় আরাকান আর্মি

সাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ১১ জুন। পরদিনই কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কায়ুকখালী ...